খুলনায় যুবদল নেতা মাহবুব হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
শনিবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন এ হত্যা মামলায় সন্ধেহভাজন ভাবে গ্রেফতার হওয়া কাজী রায়হানের স্ত্রী কামরুন নাহার কেয়া, আসিফ মোল্লার স্ত্রী সাদিয়া আফরিন এবং হয়রানির শিকার ইমন হাওলাদারের মা মনিরা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে রায়হানের স্ত্রী কামরুন নাহার কেয়া বলেন, নিহত মাহবুবকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। এ নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘৃণা প্রকাশ করছি। মাহবুব এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৯/১০ টি মামলা থাকার কথা জেনেছি। তাকে হত্যার পরদিন তার বাবা মো: আব্দুল করিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামী করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ এই মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে হয়রানি করছে।
তিনি বলেন, হত্যাকান্ডে অংশ নেওয়া তিন ব্যক্তির সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছে যে মোটর সাইকেল চালাচ্ছে রায়হান, মাঝে বসা আসিফ ও পেছনের সিটে ইমন। আবার কোন মিডিয়া লিখেছে, চালক আসিফ, রায়হান মাঝে, ইমন পেছনে। মিডিয়ার এই বিভ্রান্তিকর তথ্যে তদন্ত কাজ ব্যাহত হচ্ছে। মিথ্যা সংবাদ প্রচারের কারণে পুলিশ নিরীহ মানুষদের হয়রানি করছে। তবে ফুটেজ দেখে যাদেরকে সনাক্তের কথা বলা হচ্ছে তাদের চেহারার কোন মিল নেই।
তিনি দাবি করেন, কাজী রায়হান ডিপ্লোমা নার্সিং এর ছাত্র। সে ঢাকার সাভারে থেকে লেখাপড়া করে। আসিফ মোল্লা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং এলাকায় তার সততার সুনাম আছে। তাদেরকে গ্রেফতার হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না। অপর ব্যবসায়ী ইমন হাওলাদারের বাড়িতে প্রতিদিন পুলিশ যাচ্ছে। তারা নিরীহ মানুষকে অহেতুক হয়রানি বন্ধ করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নেওয়ার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই দুপুর দেড়টায় নিজ বাড়ির সামনে মোটর সাইকেলে আসা তিন অস্ত্রধারী যুবদল নেতা মাহবুুবুর রহমানকে গুলি করে ও দু’পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। পরদিন নিহতের পিতা করিম মোল্লা বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় মুদি দোকানী সজল শেখ ও ইঞ্জিন ভ্যান চালক আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তারা দু’জন কিলিং মিশনের সদস্য না হলেও খুনীদের কাছে তথ্য সরবরাহকারী বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী জানিয়েছেন। ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার পুলিশ ও ডিবি আসিফ মোল্লা ও রায়হান নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে। ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা কিছু স্বীকার করেনি। তাদরেকে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।