আজ || শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম :
  জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদ স্মরণে খুলনায় বিএনপির মৌন মিছিল – তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তি সহ্য করা হবেনা       সাকিব রায়হানের কবর জিয়ারত; পরিবারের পাশে বিভাগীয় কমিশনার       মীর মুগ্ধ’র শাহাদাত বার্ষিকী – শোকে শ্রদ্ধায় কৃতি শিক্ষার্থীকে স্মরণ করলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়       যুবদল নেতা মাহবুব হত্যা : খুলনা ও সাতক্ষীরা থেকে আরও দু’জন গ্রেফতার       খুলনায় জামায়াতের বিক্ষোভ – দেশ এখনও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি       পরিস্থিতির জন্য অন্তবর্তী সরকারের নির্লিপ্ততা দায়ী : খুলনা যুবদল       বিল ডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে শৈলমারী গেটের পলি অপসারণ শুরু       কুয়েট চালুর দাবিতে ইউজিসি’তে স্মারকলিপি দিয়েছে গার্ডিয়ান ফোরাম       ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে খুলনা ছেড়েছেন এনসিপি নেতারা       আ.লীগ জঙ্গী সংগঠন, গোপালগঞ্জ ফ্যাসিস্টদের আশ্রয় কেন্দ্র; অভিযুক্তদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে    
 


দূর্নীতিবাজ আমলা রেখে কতটা উন্নয়ন সম্ভব

বিগত আমলে প্রতিটি সেক্টরে যেভাবে দূর্নীতি হয়েছে তা সারাবিশ্বে বিরল ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী হতে শুরু করে আওয়ামী লীগের প্রতিটি মন্ত্রী, এমপি, নেতা কর্মী হতে অফিসের পিয়ন দারোয়ান পর্যন্ত আকন্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল। ক্ষমতায় থাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায়  আমলারাও সুযোগ বুঝে বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক বনে গিয়েছে!  পররাষ্ট্র, প্রশাসন, পুলিশ, ইনকাম ট্যাক্স, কাস্টমস হতে শুরু করে এমন কোন ক্যাডার নেই যারা দূর্নীতিবাজ নয়। অতি অল্পসংখ্যক সৎ কর্মকর্তা  ছিলেন যাদের ওএসডি কিংবা শাস্তিমূলক বদলি অথবা  প্রমোশন বঞ্চিত হয়েছেন।

কিছু কর্মকর্তা বিএনপি পরিচয়ে ঢুকে পালাবদলের খেলায় আওয়ামী লীগার বনে যায়।এরপর ভালো ভালো পোস্টিং নিয়ে টাকার পাহাড় বানিয়ে ফেলে। ৫ই আগস্টের পর তারা পুনরায় নিজেদের বিএনপি দাবি করছে।  এরকম একজন হচ্ছে ইনকাম ট্যাক্স কর্মকর্তা আছেন। এম আদ্যাক্ষর এই কর্মকর্তার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরে। বিগত সময়ে তার সকল পোস্টিং ছিল পুরস্কারমূলক। দেদারসে ঘুষ খেয়ে শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন। আবার খরচ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতাদের পেছনে। বিদ্যুৎ ঝাঁকায় বিক্রি করতে চাওয়া এমপি মমতাজের তার আত্মীয় ও মদদদাতা। অনেকেই বলে থাকে মমতজের অবৈধ টাকার অন্যতম পার্টনার এই ইনকাম ট্যাক্স অফিসার। দরিদ্র কৃষক পরিবারের ছেলে হয়েও আজ তারা শত শত কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক। বৈষম্য বিরোধী  আন্দোলনের সময়  বিরোধী ছাত্র জনতাকে দমনের জন্য  ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডারদের প্রচুর টাকা দিয়েছে। প্রায় প্রতি সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ক্যাডারদের নিয়ে বারে বসে দামী মদ গিলেছে, বিভিন্ন বাগানবাড়িতে বাইজি নাচ আয়োজন করেছে।

তার সবচাইতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হচ্ছে সিলেটের সাবেক এসপি আব্দুল মান্নান যার হাতে গোলাপগঞ্জের রক্ত লেগে আছে।

৫ আগস্টের পর এই ইনকাম ট্যাক্স কর্মকর্তা রাতারাতি ভোল পাল্টে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে এবং বন্ধু মান্নানকেও বিএনপি বানানোর চেষ্টা করছে।

অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা আয় করে তারা এখন মিশন নিয়েছে প্রয়োজনে বড় অংক দিয়ে হলেও নিজেদের অপকর্ম মুছে দিতে৷

শুধু এই ইনকাম ট্যাক্স কর্মকর্তাই নয় প্রায় প্রতিটি ক্যাডারে শত শত দূর্নীতিবাজ অফিসার রয়েছে, যাদের চাকরিতে বহাল রেখে দেশ পরিচালনা করা নিরাপদ নয়। টাকার বিনিময়ে এরা যে কোন সময় যে কোন কিছু করতে পারে।

বর্তমান সরকারের উচিত হবে এদের তালিকা তৈরী করে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া।


Top