হাসিনার আমলে বহুল আলোচিত ’আয়নাঘর’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছ ভারতের পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমস।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবর অনুসারে অনেককেই তুলে এনে গুম করে ফেলা হতো। তাদের লাশের সন্ধান মিলত না। অন্যদেরকে একটি গোপন মিলিটারি ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হতো। এটার নাম ছিল আয়নাঘর। মানে হাউজ অফ মিররস।
মূলত হাসিনার শাসনকালে যারা তার বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হতো। আইনজীবী থেকে পাহাড়ি নেতা, যারাই হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাদেরকেই নিশানা করত তৎকালীন সরকার। এদিকে আচমকাই সেই প্রতিবাদীদের আর সন্ধান মিলত না। কার্যত উবে যেতেন তারা। তবে এবার সেই প্রতিবাদকারীদের আত্মীয়রা মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
মাইকেল চাকমা। তিনি পাহাড়িদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালাতেন। গত অগস্ট মাসে একটি জঙ্গলে তাকে ছাড়া হয়েছিল। তার আগে চোখ বেঁধে তাকে হাঁটানো হয়। তিনি বলেছিলেন পাঁচ বছরে এই প্রথম আমি সূর্যের আলো দেখলাম। এমনকি তিনি বার বার পরীক্ষা করে দেখেন তিনি কি সূর্যের আলো দেখছেন নাকি সেটা অন্য কিছু।
এদিকে তার প্রশ্ন আমার দোষটা কি ছিল? আমি কী করেছি? আমার অপরাধটা কোথায়? আসলে সেই প্রশ্নের উত্তরটা মিলছে না কিছুতেই।
আবদুল্লাহ আমান আজমি নামে সেনাবাহিনীর এক সাবেক জেনারেল বলেছেন, আমি আকাশ, সূর্য, ঘাস, চাঁদ, গাছ কিছুই দেখিনি। গত অগস্ট মাসে তাকে মিলিটারি জেল থেকে ছাড়া হয়েছিল। আট বছর ধরে তাকে জেলের মধ্যে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছিল। তাকে অন্তত ৪১ হাজার বার চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল ওই সময়কালে।
সুত্র: দৈনিক নয়া দিগন্ত।