আজ || শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম :
  জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদ স্মরণে খুলনায় বিএনপির মৌন মিছিল – তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তি সহ্য করা হবেনা       সাকিব রায়হানের কবর জিয়ারত; পরিবারের পাশে বিভাগীয় কমিশনার       মীর মুগ্ধ’র শাহাদাত বার্ষিকী – শোকে শ্রদ্ধায় কৃতি শিক্ষার্থীকে স্মরণ করলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়       যুবদল নেতা মাহবুব হত্যা : খুলনা ও সাতক্ষীরা থেকে আরও দু’জন গ্রেফতার       খুলনায় জামায়াতের বিক্ষোভ – দেশ এখনও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি       পরিস্থিতির জন্য অন্তবর্তী সরকারের নির্লিপ্ততা দায়ী : খুলনা যুবদল       বিল ডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে শৈলমারী গেটের পলি অপসারণ শুরু       কুয়েট চালুর দাবিতে ইউজিসি’তে স্মারকলিপি দিয়েছে গার্ডিয়ান ফোরাম       ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে খুলনা ছেড়েছেন এনসিপি নেতারা       আ.লীগ জঙ্গী সংগঠন, গোপালগঞ্জ ফ্যাসিস্টদের আশ্রয় কেন্দ্র; অভিযুক্তদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে    
 


তাপসের নামে ১০০ কোটির সঞ্চয়পত্র, প্রকাশ্য অনুসন্ধানে দুদক

ডিএসসিসি’র পলাতক মেয়র ফজলে নুর তাপস।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী-এমপি-সচিবসহ অনেকের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনে জোর তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই তদন্তে নাম আছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসেরও।

তাপসের নামে ১০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে বলে জানতে পেরেছে দুদক। তাদের এক গোপন অনুসন্ধানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এবার কমিশনের বিশেষ একটি দল এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

সূত্র জানায়, দুদকের গোপন অনুসন্ধানে তাপসের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রকাশ্য অনুসন্ধানে তার নামে-বেনামে আরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেরিয়ে আসবে।

দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, সাবেক মেয়র তাপসের গোপালগঞ্জে মৎস্য খামার রয়েছে। আদতে দেখা যায় সেসবের কোনো অস্তিস্ব নেই। সেই অস্তিত্বহীন মৎস্য খামার দেখিয়ে মুনাফা হিসেবে ৩৫ কোটি টাকা উল্লেখ করেছেন তাপস। পরে তিনি এ টাকার মধ্য থেকে ৩২ কোটি টাকায় মধুমিতা ব্যাংকের শেয়ার কেনেন। তিনি এ ব্যাংকের পরিচালক। আর ওই ১০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র কিনেছেন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।

দুদক জানায়, ঢাকার কামরাঙ্গীচর এলাকার প্রায় ৩০০টি বাড়ি কোথাও পূর্ণ, কোথাও আংশিক দখল করেছেন সাবেক মেয়র। এ ক্ষেত্রে ডিএসসিসি ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান ও মো. জাহাঙ্গীর তাকে সহায়তা করেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের সাবেক একজন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষার দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন। বিষয়টি সামনে এনে সাবেক মেয়র ডিএসসিসির ওই দুই ম্যাজিস্ট্রেট ও দলীয় লোকজনের প্রভাবে কামরাঙ্গীচরের কাঁচা, আধাপাকা ও ছোট ছোট পাকা প্রায় ৩০০টি বাড়ি কোথাও আংশিকভাবে, কোথাও পূর্ণ বাড়ি দখল করে নেন।

সুত্র: দৈনিক ইত্তেফাক।


Top