আজ || শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম :
  যুবদল নেতা মাহবুব হত্যা : খুলনা ও সাতক্ষীরা থেকে আরও দু’জন গ্রেফতার       খুলনায় জামায়াতের বিক্ষোভ – দেশ এখনও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি       পরিস্থিতির জন্য অন্তবর্তী সরকারের নির্লিপ্ততা দায়ী : খুলনা যুবদল       বিল ডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে শৈলমারী গেটের পলি অপসারণ শুরু       কুয়েট চালুর দাবিতে ইউজিসি’তে স্মারকলিপি দিয়েছে গার্ডিয়ান ফোরাম       ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে খুলনা ছেড়েছেন এনসিপি নেতারা       আ.লীগ জঙ্গী সংগঠন, গোপালগঞ্জ ফ্যাসিস্টদের আশ্রয় কেন্দ্র; অভিযুক্তদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে       খুলনায় অপহরণ মামলার প্রধান আসামী ছাত্রদল নেতা       কুয়েটে এক বছরের অনিয়ম তদন্তে ইউজিসি’র তদন্ত কমিটি       খুলনার সাথে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল সাড়ে ৪ ঘন্টা    
 


খুলনায় জলবায়ু বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা

নারীর ক্ষমতায়ন ও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব না বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

খুলনায় জলবায়ু ঝুঁকি প্রশমনে নারীর অবদান, প্রাপ্তি ও ক্ষমতায়নে করণীয় বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় এ মতামত প্রদান করেন তারা। রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে নগরীর পূর্বাঞ্চল ডায়ালগ সেন্টারে সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) এর কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় ইভলব প্রকল্পের মাধ্যমে এ গোলটেবিল আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকত। দৈনিক পূর্বাঞ্চলের নির্বাহী সম্পাদক আহমদ আলী খানের সভাপতিত্বে ও বার্তা সম্পাদক অমিয় কান্তি পালের সঞ্চালনায় এ গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি রায়। প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বর্ণনা করেন প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর দেবাশিষ কুমার ঘোষ।

আলোচনায় জানানো হয়, একটি বৃহৎ প্রকল্প নিয়ে খুলনা ও বাগেরহাট জেলার ছয়টি উপজেলায় কাজ চলমান রয়েছে। যেখানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট প্রনয়নের আগে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ত করে তাদের মতামত নেয়া হয় এবং সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হয়। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কিভাবে জীবনযাত্রা মান উন্নতি করা যায় সে লক্ষ্যেও কাজ করা হচ্ছে।

উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও অতিমাত্রায় লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে জরায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নারীরা। এছাড়া গত কয়েক দশকে উপকূলীয় এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির অভাব। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কলসি নিয়ে পানির খোঁজে দীর্ঘপথ হাঁটতে হয় নারীদের। বক্তারা টেকসই উন্নয়নে জেন্ডার সমতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় বক্তারা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারীরা হলেও বাজেট বরাদ্দ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সীমিত। তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালের এশিয়ান সুনামিতে নিহতদের ৭০ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের বন্যায় ৯৬ শতাংশ ছিল নারী ও শিশু। বাংলাদেশে প্রতি বছর উপকূলীয় দরিদ্র নারীরা পরিবারের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ করছেন জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায়, যদিও জলবায়ু অভিযোজন খাতে বাজেট বরাদ্দ মাত্র জিডিপির ০.৭৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু অর্থায়নের মাত্র ৩ শতাংশ জেন্ডার সংবেদনশীল কাঠামোতে ব্যয় হয়। আর বাংলাদেশের বাজেটেও নারীর জন্য অভিযোজন প্রকল্পে আলাদা কোন লাইন আইটেম নেই।


Top