খুলনায় যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লা হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ মো: সজল (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার রাত সোয়া ২ টার দিকে দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সজল ওই এলাকার বাসিন্দা সাহেব আলীর ছেলে। তিনি একজন মুদি দোকানের ব্যবসায়ী।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং মাহবুব হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসার মীর আতাহার আলী সজলের গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সজল কিলিং মিশনে ছিলনা। কিন্তু মাহবুবের অবস্থান সম্পর্কে খুনীদের যাবতীয় তথ্য দিয়েছে সজল। তার তথ্যের ওপর নির্ভর করে দুর্বৃত্তরা মাহবুবকে গুলি এবং পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে সজল অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
ওসি মীর আতাহার আলী আরও জানান, এ হত্যাকান্ডে সজল সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। আমরা এ তথ্য নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার কছি। শুধু এ হত্যাকান্ড নয়, সে গোপন সংগঠনের তথ্য সরবরাহ করে থাকে। হত্যাকান্ডের সময়ে সজল খুব কাছাকাছি থেকে দুর্বৃত্তদের খবর আদান প্রদান করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হবে। তার কাছ থেকে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাব এবং মূল খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে পশ্চিম মহেশ্বরপাশা এলাকার বাসিন্দা এবং যুবদলের দৌলতপুর থানার সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবকে নিজে বাড়ির সামনে প্রাইভেটকার পরিস্কার করাকালে মোটরসাইকেলযোগে আসা তিন দুর্বৃত্ত গুলি করে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ১২।
বিএনপির বিক্ষোভ : এদিকে খুলনা মহানগরীতে ধারাবাহিক হত্যাকান্ড, মাদকের সম্প্রসারণ ও মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরত্ব, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি সন্ত্রাসীদের দৌরত্ব এবং পুলিশ প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার প্রতিবাদে রবিবার বিকাল ৪ টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। সমাবেশ থেকে বিএনপি নেতারা নগরীর আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও মাদকের ভয়াবহতার জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা ও নির্লিপ্ততাকে দায়ি করে অবিলম্বে সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপি সভাপতি শফিকুল আলম মনা। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশিদ মিরাজ, সৈয়দা নার্গিস আলী, মুজিবর রহমান, আব্দুল আজিজ সুমন, সজীব তালুকদার প্রমুখ।