খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লা হত্যাকান্ডে জড়িত সন্ধেহে আরও দুই যুবক গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের একজনকে দৌলতপুর থানা পুলিশ সাতক্ষীরা জেলার তালা থেকে গ্রেফতার করে। অপরজন খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা গ্রেফতার হন।
গ্রেফতারের পর তাদেরকে পৃথক স্থানে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রটি বলছে, গ্রেফতারকৃত দু’জন হলেন, নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশার ওবায়দুলের ছেলে মোঃ আসিফ মোল্লা(৩২) এবং দৌলতপুরের জনৈক কাজী রায়হান(৩০)। এ নিয়ে মাহবুব হত্যা মামলায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
আসিফ মোল্লা ও কাজী রায়হান নামের দু’জন কিলিং মিশনের সদস্য কি না সেটি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। কিলিং মিশনের সদস্য না হলেও মাহবুব হত্যার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাদের কাছ থেকে পাওয়া যেতে পারে এমনটিও পুলিশের ধারনা।
কাজী রায়হান ইসলামকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর আতাহার আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে রায়হানকে তালা উপজেলার মহিলা কলেজের পাশে একটি ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। আমার তার পরিচয় কিংবা মাহবুব হত্যায় সম্পৃক্ততা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নই। এজন্য আরও অভিযান ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাইনউদ্দিন জানান, কেএমপির দৌলতপুর থানা থকে পুলিশের একটি টিম এসে এক যুবককে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী দৌলতপুর থানার এসআই ওলিয়ার রহমান জানান, বিশেষ সূত্রে তথ্য পেয়ে আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। তবে তিনি রায়হান কিনা নিশ্চিত নই। এই মুহুর্তে তাকে নিয়ে পাইকগাছায় অভিযানে আছি। যাচাই বাছাই শেষ না হলে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা।
অপরদিকে, এ মামলার অপর সন্দিগ্ধ আসামি আসিফ মোল্লাকে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম আটক করে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে ডিবির সূত্র জানান।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার(১১ জুলাই) দুপুর দেড়টায় নিজ বাড়ির সামনে মোটর সাইকেলে আসা তিন অস্ত্রধারী যুবদল নেতা মাহবুুবুর রহমানকে প্রথমে গুলি করে ও পরে দু’পায়ের রগ কেটে হত্যা করে
মোটরসাইকেলযোগেই পালিয়ে যায়। পরদিন শনিবার(১২ জুলাই) নিহতের পিতা মোঃ আঃ করিম মোল্লা বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আশেপাশের সিসি ফুটেজ দেখে কিলিং মিশনের তিনজনকে শনাক্ত করলেও তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
এরআগে সজল শেখ ও আলাউদ্দিন নামের দু’জনকে গ্রেফতার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ। তাদের মধ্যে সজল শেখকে দু’দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে তারা দু’জন কিলিং মিশনের সদস্য না হলেও খুনীদের তথ্যদাতা বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী জানিয়েছেন।