স্কুল জীবনে ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেলো এই ট্রান্সলেশন পড়তাম। এখন দেখছি ফ্যাসিবাদের দোসর পালাইয়া যাওয়ার পর প্রকাশিত হচ্ছে সে অপরাধী ছিল অর্থাৎ তাকে পালানোর সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
৫ আগস্ট বিপ্লবের পর সরকার শপথ গ্রহণ পর্যন্ত যে বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছিল, সে সময় অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দেয়া অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। পরবর্তীতে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কিছু রাঘব বোয়াল ধরা পড়ার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও তাদের আর কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে দেখা যায় তাদের কেউ কলকাতায়, কেউ বেলজিয়ামের কিংবা লন্ডনে বহাল তবিয়তে পৌঁছে গিয়েছে! তাদের মনে হয় জাদুর কার্পেট কিংবা পাখির ডানা ছিল,তাই পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই ইউরোপ আমেরিকা পৌঁছে যাচ্ছে!
অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে কালা মানিকের নি:শ্ব অবস্থায় ধরা খাওয়া কিংবা কোটি ডলার সাথে নিয়ে ইন্ডিয়ায় ইসহাক আলী খান পান্নার করুণ মৃত্যু ছাড়া সীমান্তে আর উল্লেখযোগ্য ঘটনা দেশবাসী জানতে পারছেনা। পালাতে গিয়ে সীমান্ত এলাকায় ২/৪ জন স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী ধরা পড়লেও সেটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছে না। সর্বশেষ আলোচিত ঘটনা হচ্ছে লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মির ইন্ডিয়ায় পালিয়ে যাওয়া। প্রধান উপদেষ্টা ড: মুহাম্মদ ইউনূস ও শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করার পর পালিয়ে যায় কিভাবে? প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে সরকার প্রধানকে অসাংবিধানিক বলা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ৫ অক্টোবর এই অপরাধের পর কেন ৩ দিন সময় নষ্ট করা হলো সিদ্ধান্ত নিতে। কেন তাকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হলো।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সতর্ক হতে হবে যেনো আর কেউ এভাবে পালিয়ে যেতে না পারে।