
দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক ও প্রখ্যাত কবি আব্দুল শিকদার বলেছেন, বিগত ১৬ বছরের নষ্ট রাজনীতি থেকে দেশকে উদ্ধার করেছে এদেশের তরুণ সমাজ। জুলাইয়ে তরুণরা কোন স্বার্থ ছাড়াই দেশের জন্য মাতৃভূমির জন্য নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুগ্ধের মত ছেলে জন্ম দিয়েছে। যে চারিদিকে গুলির মধ্যে দাঁড়িয়ে সহযোদ্ধাদের জন্য পানি সরবরাহ করছিলো। ঘাতকের গুলি যার জীবন কেড়ে নিয়েছে। আবু সাঈদ যার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদ বিলুপ্ত হয়েছে। এটি সেই বাংলাদেশ যে বাংলাদেশের তরুণরা ৭১ সালে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলো। আমি তরুণদের হাজার সালাম জানাই। তরুণরাই দেশকে অন্ধকার থেকে বের করে এনেছে। তিনি গতকাল শনিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে “ফোর্থ ন্যাশনাল ডিবেট কম্পিটিশন ২০২৫”এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক ক্লাব ‘নৈয়ায়িক’ এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ২৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে।
অনুষ্ঠানে আবদুল হাই শিকদার আরও বলেন, ড. মুহম্মদ ইউনুস এমন একজন মানুষ যাকে বিশ্বের সকল ভাষার মানুষ এক নামেই চেনে। বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলো তার বক্তব্য শোনার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। তাকে নিয়ে দেশের ক্রান্তিলগ্নে অন্তর্বর্তি সরকার করা ভুল হয়েছে। এটা হতে হতো বিপ্লবী সরকার। দেশের এই সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এন্টিফ্যাসিজম বিষয়গুলোতে এক হতে হবে। দেশের মধ্যে লুকিয়ে থাকা নষ্ট মানুষগুলো বের হতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো সতর্ক না হলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বিলুপ্ত হবে। তিনি শেখ মুজিবের বাঙালী জাতীয়তাবাদ দর্শনের সমালোচনা করে বলেন, এই দেশকে স্বাধীন করতে দেশের চাকমা গারো সাওতাল মারমা বিহারী সকল বর্ণের মানুষ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে। তাহলে সেটা বাঙালি জাতীয়তাবাদ কিভাবে হয়? এই ভুল দর্শণ থেকে বের করতেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ দর্শনের ধারণা দেন। যা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নিজস্বতা প্রকাশ করে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিম, উপ উপাচার্য প্রফেসর ডঃ হারুনুর রশিদ খান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত, বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিচারক টিআইবির ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর জাফর সাদিক। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিতর্ক ক্লাব নৈয়ায়িক এর সভাপতি হিজবুল্লাহ তামিম।

