
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে বলে জানিয়েছে কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস (সিবিও)। সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, আগামী এক দশকে প্রায় চার ট্রিলিয়ন বা চার লাখ কোটি ডলার ঘাটতি কমতে পারে। এর মধ্যে ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন বা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার প্রাথমিক ঘাটতি কমানোর পাশাপাশি প্রায় ৭০০ বিলিয়ন বা ৭০ হাজার কোটি ডলার সুদ প্রদানের চাপও হ্রাস পাবে।
আগের অনুমানের তুলনায় এ অঙ্ক এক-তৃতীয়াংশ বেশি। বছরের শুরু থেকে ঘোষিত শুল্কনীতির প্রভাবে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা জানুয়ারি–মে সময়কালের প্রাথমিক হিসাবের চেয়ে অনেক বড়।
প্রতিবেদনের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, শুল্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব তাদের পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি এবং এটি বাজেট ঘাটতি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যদিও তার প্রিয় করছাড় আইনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ প্রায় ৪ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন বা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে শুল্ক রাজস্ব সেই বাড়তি চাপ কিছুটা প্রশমিত করবে।
বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন যে এই পূর্বাভাসে অনিশ্চয়তা রয়েছে, কারণ শুল্কনীতির পরিবর্তন, ছাড় বা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এসবের প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি, শুল্ক আরোপ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে ধীর করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
এ বছরই শুল্ক থেকে প্রায় ২০০ বিলিয়ন বা ২০ হাজার কোটি ডলার আয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে সিবিও, যা গত পাঁচ বছরের গড় আয়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট আরও আশাবাদী, তার মতে, বছরের শেষে এই আয় ৩০০ বিলিয়ন বা ৩০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে জিডিপি অনুপাতে ঘাটতিও কমতে পারে।
রেটিং সংস্থাগুলো যেমন এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল ও ফিচ মনে করছে, শুল্ক রাজস্ব প্রবাহ যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমান ধরে রাখতে সহায়ক হলেও তারা সতর্ক করেছে যে বড় আকারের ঘাটতির ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। কিছু বিশ্লেষক আরও বলেছেন, বর্তমান আয় সাময়িক হতে পারে, কারণ রপ্তানিকারকেরা সময়ের সঙ্গে বিকল্প বাজারে ঝুঁকলে রাজস্ব কমে আসতে পারে।

