দেশের মোট রপ্তানি আয়ে মৎস্যখাত একসময় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রাখতো, এখন সেটা সপ্তম স্থানে নেমে এসেছে। বিদেশে মানসম্মত মৎস্যপণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ থাকলেও পণ্যের মান ধরে রাখতে না পারলে অথবা মাছে অপদ্রব্য মেশালে মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির আন্তর্জাতিক বাজার হারাতে হবে।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মঙ্গলবার খুলনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান সংশ্লিষ্টরা। ‘মৎস্য সম্পদের স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন এবং সর্বোত্তম ব্যবহার’ বিষয়ে অংশীজনদের সাথে এই মতবিনিময় সভা দুপুরে খুলনাস্থ বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)’র সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক বিপুল কুমার বসাক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে মাছের মোট উৎপাদন ছিল ৫০.১৮ লাখ মেট্রিক টন। দেশের ১৪ লাখ নারীসহ দুই কোটির অধিক মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য সেক্টরের সাথে জড়িত। দেশের মোট জিডিপিতে মৎস্যখাতের অবদান ২.৫৩ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে এখাতের অবদান ২২.২৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ইলিশ আহরণে প্রথম, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ আহরণে দ্বিতীয় ও তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে পঞ্চম। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ছয় হাজার একশত ৪৫ কোটি টাকা সমমূল্যের ৯১ হাজার মেট্রিক টন মাছ বা মৎস্যজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়েছে।
খুলনা বিএফএফইএ এর সাবেক সহসভাপতি এস হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, মৎস্য অধিদপ্তরের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ম্যানেজার মোঃ জাহিদুল হাসান এবং মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তর খুলনার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আবুল হাসান। মতবিনিময় সভায় মৎস্যখাতে খুলনা অঞ্চলের অবদান, লাভজনক ও মানসম্মতভাবে মাছচাষ, মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) আইন-২০২০ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তরের মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা লিপ্টন সরদার।

