খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে পাঁচ মাস। উদ্বেগ, হতাশ আর অনিশ্চয়তা গ্রাস করেছে শিক্ষার্থীদের। সেই সাথে অভিভাবকদেরও। শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে আসবেন, এই প্রত্যাশা নিয়ে রোববার সকালে বই খাতা ব্যাগ নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হন অনেকেই। ওদিকে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে কুয়েট গার্ডিয়ান ফোরাম।
রোববার সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তিনতলায় যেয়ে দেখা গেছে, ওই বিভাগের ২১ ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস রুমে বসে আছে শিক্ষকের অপেক্ষায়। শিক্ষার্থী রেজানুর রহমান বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থার অবসান চাই। সর্বশেষ সিন্ডিকেট কমিটির যে মিটিং হয়েছিল ওই মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। যেটা এখনও কার্যকর আছে। আমরা চাই দ্রুত ক্লাস শুরু হোক। আমাদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে কোন গ্যাপ নেই। ক্লাস শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমাদের হতাশা কাটছে না। এ কারণে আমরা ক্লাসে এসে বসে আছি।’
আরিফ আলমাস রহমান বলেন, আমাদের ব্যাচের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আজ ক্লাসে উপস্থিত হয়েছি। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত হতে পারছে না তাদের নিরাপত্তাজনিত কারণে। এখন যদি শিক্ষকরা আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন এবং ক্লাসে ফেরেন তাহলে আমরা আশা করি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
এদিকে দুপুর ১২ টার প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে কুয়েট গার্ডিয়ান ফোরাম। অতি দ্রুত ক্লাস ও পরীক্ষা শুরুর দাবি জানিয়ে তারা বলেন, তাদের সন্তানরা অনেকেই ডিপ্রেশনে ভুগছে। এতে তাদের শিক্ষা জীবন ও পরবর্তী পেশা জীবনে মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। তারাও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন।
গার্ডিয়ানদের পক্ষ থেকে বক্তৃতা করেন মোঃ ফারুক আহমেদ, আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ এনায়েত করিম, মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ নায়েব আলী, সুশান্ত কুমার পাল, রুবাইয়া হিজাজী, আয়েশা আক্তার প্রমূখ।

