খুলনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, ধর্মীয় চর্চা ও নৈতিক শিক্ষা বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব। বক্তারা বলেন, মাদকের ভয়াবহতা রোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আইনের কঠোর বাস্তবায়নের পাশাপাশি পারিবারিকভাবেই মাদককে না বলার প্রবণতা জাগাতে হবে।
শুক্রবার সকালে খুলনা বিএমএ ভবনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, শিক্ষক ও শিক্ষিকাবৃন্দ আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আহসানুর রহমান।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎক ও রোটারিয়ান ডা: সৈয়দ আবু সঈদ’র সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা উপপরিচালক মো. মিজানুর রমান, বিভাগীয় কার্যালয়ের গোয়েন্দা প্রধান শেখ ইফতেখার মো. উমায়ের, খুলনা হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. এন.এম. শামিমুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ ডা. আনিসুর রহমান মিন্টু, খুলনা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, খুলনা হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রভাষক ডা. জাকিরুল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আড়ালে যারা মাদকের অপব্যহার করছেন তারা চিকিৎসক নামের কলংক। তারা চিকিৎসক নন, তারা মাদক ব্যবসায়ী। সুতরাং কোন মাদক ব্যবসায়ীর সাথে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের সম্পর্ক থাকতে পারে না।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় না দেওয়া, মাদকের কেনাবেচা বন্ধে বর্ডার সীল করা, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাদক সেবন থেকে বিরত থাকা, মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে মাদকমুক্ত করা, মাদকের সহজলভ্যতা কমাতে আইন প্রনয়ন ও এর কঠোর প্রয়োগ এবং মাদকের উৎপাদন বন্ধের সুপারিশ করা হয়।

