খুলনায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামী ছিনতাই
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাটে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে চাঁদাবাজি মামলার আসামী ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। হামলায় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জসহ ৩জন আহত হন। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দিঘলিয়া থানায় ২৯জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার(১৬ আগষ্ট) সন্ধ্যায় একটি চাঁদাবাজি মামলার এজাহারভূক্ত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য মাঝিরগাতীতে অভিযান চালিয়ে কাঁচা বাজার এলাকা থেকে তৈয়ব মুন্সি (২৬) নামের একজন এজাহারভূক্ত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সাথে সাথেই গাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহাগ মুন্সির নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে তৈয়ব মুন্সিকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাদের হামলায় মাঝিরগাতী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল- মাসুদ (৪৫), এস আই আহম্মদ আলী(৩৫) ও কনেস্টবল ইব্রাহিম (৩৫) আহত হন। আহতদের দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মাঝিরগাতী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল – মাসুদ বলেন, ‘তৈয়ব মুন্সি একটি চাঁদাবাজী মামলার এজাহার নামীয় আসামী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। আটকের পরপরই গাজীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহাগ মুন্সি তার লোকজন নিয়ে মব সৃষ্টি করে। তারা লাঠিসোটা দিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে। এতে আমিসহ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হই।’
এদিকে, পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার পরপরই দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এইচ এম শাহীন এর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের পুলিশের একটি দল মাঝিরগাতী এলাকায় অভিযান চালায়। রাতভর অভিযান শেষে মোঃ ওসমান শেখের পুত্র জামিরুল ইসলাম (৩৪), সৈয়দ আঃ রাজ্জাকের পুত্র সৈয়দ আব্দুল করিম ও মৃত রতন শেখের পুত্র লিটন শিকদার(৩৫)কে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায়
প্যানেল চেয়ারম্যান সোহাগ মুন্সিকে প্রধান আসামি করে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নম্বর-১০।
দিঘলিয়া থানার ওসি এইচ এম শাহীন বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের
বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারনামীয় উল্লিখিত তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

