খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বিএনপি ধর্মবান্ধব রাজনৈতিক দল কিন্তু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। বিএনপি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে জনসাধারনকে আদর্শ জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ করে, বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না।
সোমবার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় ইউনাইটেড ক্লাব মিলনায়তনে ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসুচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি ধর্মীয় মূল্যবোধ, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা-বিশ্বাস ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি বিশ্বাস করে, মুসলমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির বিকাশ ঘটলে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে শান্তি, ন্যায্যতা, মানবিকতা প্রতিষ্ঠিত হবে। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস সংযোজন করে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানূষের অনুভুতির প্রতি সম্মান জানিয়েছেন।
উদ্বোধকের বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ৫ আগস্টের পর যারা পাড়া মহল্লায় গিয়ে আয়োজন করে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে তাদের ষড়যন্ত্র থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপির মূল শক্তি হলো জনগণ। বিএনপি জনগণের শক্তিতে বলীয়ান। কোনো ষড়যন্ত্র এই দলকে নিঃশেষ করতে পারেনি, আগামীতেও পারবে না। এমন কোনো শক্তি নেই জনগণ থেকে বিএনপিকে বিচ্ছিন্ন করবে। কেউ যদি এমনটি মনে করে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। ৫ আগস্ট রক্ত দিয়ে যারা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে, তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে অনেকে নতুন রাজনীতি শুরু করেছে। ভোটের অধিকারের জন্য ১৬ বছর দেশের মানুষ অপেক্ষা করেছে। কিন্ত স্বাধীনতা বিরোধীরা মানুষের ভোটাধিকার নষ্টের জন্য পিআর পদ্ধতি চাইছে।
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ শেখ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দা রেহানা ঈসা, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি কে এম হুমায়ূন কবির, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ফরিদ আহমেদ, নগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: নাসির উদ্দিন, নগর মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হালিমা আক্তার খানম, মোল্লা নুরুল ইসলাম, আলতাফ খান, জাহাঙ্গীর আলম, মনির খান, খান শহিদুল ইসলাম, মহিলা দল নেত্রী রাশিদা আক্তার ময়না, এডভোকেট জাহানারা পারভীন, আসাদুজ্জা মিঠু, শাহিনুল ইসলাম, মুরাদ হোসেন, শেখ মিজানুর রহমান, মো:কামাল, জিয়াউর রহমান, বাবুল জমাদ্দার, সওগাতুল আলম সগির, রিয়াজ সাহেদ, আসাদুজ্জামান মিঠু, রুবেল জমাদ্দার, মো: জালাল, ফারুক আহম্মেদ, মো:গাউস, মো:জামাল, মিজান সরদার, রিপন আকন, রবিউল ইসলাম রবি, মাওলানা আফসার উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক আজম খান, মোস্তফা পাটোয়ারি, মোস্তফা মাস্টার, হিরণ দেবনাথ, মো:রুম্মান, রিয়াজ, জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম লিটন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শাফিয়া খাতুন, আকলিমা খাতুন, পুতুল আক্তার, মো:মাসুদুর রহমান, খলিলুর রহমান, মাহাবুব নোমান, আব্বাস, হায়দার আলী, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

