খুলনায় ফেরি ও ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলখানা ও সেনেরবাজার ঘাটের মধ্যবর্তী স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ যুবক হলেন রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ সরকারের ছেলে আকাশ (১৭)।
শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত খুলনা সদর নৌপুলিশ, রূপসা নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের ডুবুরিরা অংশ নিয়েও আকশের কোন সন্ধান পায়নি।
পুলিশ জানায়, রাত সোয়া ১০টার দিকে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার জেলখানা ঘাট থেকে সেনেরবাজারের দিকে যাচ্ছিল। নদীর মাঝপথে ফেরির সঙ্গে ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় ট্রলার থেকে দু’জন নদীতে পড়ে যান। এর মধ্যে একজনকে উদ্ধার করা গেলেও আইচগাতি ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ সরকারের ছেলে আকাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিলেও পরে খুলনা সদর নৌপুলিশ, রূপসা নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ডুবুরিরা অভিযান চালান।
রূপসা নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই শিমুল ঘোষ বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে যাত্রীবাহী ট্রলারের সঙ্গে ফেরির সংঘর্ষ হয়। নৌকার একটি অংশ ফেরির নিচে ঢুকে যায়। এতে কিছু যাত্রী নদীতে পড়ে যান এবং কিছু যাত্রী ফেরিতে উঠে যান। এর মধ্যে আইচগাতি ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ সরকারের ছেলে আকাশের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। তবে উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
কোষ্টগার্ড মোংলার পেটি অফিসার নাজমুল ইসলাম বলেন, রাতে ৪ জন ডুবরী নিয়ে মোংলা থেকে খুলনায় এসেছি। রাতে অভিযান চালানো হয়েছে। সকাল থেকে আবারও শুরু করেছি। কিন্তু আকাশের সন্ধান মেলানো যায়নি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এদিকে ট্রলার মাঝিদের অনিয়মের কথা তুলে ধরে ঘাট এলাকার স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, নৌকা পারাপারে মাঝিরা কোন নিয়ম শৃঙ্খলা মানে না। ট্রলারে ২৫ যাত্রী উঠানামা করার কথা থাকলে সেখানে তারা ৩৫-৪০ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া খারাপ ছিল। নদী বন্দরে সতর্ক সংকেত ছিল। অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচলের জন্য এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। একটি ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষ সরব হয়। কয়েকদিন যাওয়ার পর আবার একই অবস্থা দাঁড়ায়। আমরা মাঝিদের একগুঁয়ে নীতি থেকে বের হতে চাই।

