১২ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন খুলনা সদর ও ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ২১৪ জন কর্মচারি। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোসিংয়ে নিয়োজিত ওয়ার্ড বয় মোহাম্মদ রানা বলেন, আমরা গত ১২ মাসের বেতন পাইনি। বেতন পরিশোধ না করেই সিভিল সার্জন ২৯ জুলাই এক পত্রে জানিয়েছেন, আমাদের কারো চাকরি নেই। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১২ মাস কাজ করেছি। হাজিরা খাতায় সই-স্বাক্ষর রয়েছে। বেতন না দিয়েই যদি বলে চাকরি নেই। তাহলে আমরা কোথায় যাবো? প্রতিবাদে গত দুইদিন বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মবিরতি পালন করছি।
ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: জেসমিন আক্তার বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুন পর্যন্ত তারা এখানে আউটসোসির্ংয়ে নিয়োজিত ছিলেন। তারা কাজ করেছে, সে বিষয়ে আমরা সিভিল সার্জন বরাবর প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি।
কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: রাজিবুল রেজাউল করিম বলেন, আমার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিং কর্মচারিরা কাজ বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের ১২ মাসের বেতন বকেয়া আছে। আমরা বিষয়টি সিভিল সার্জন অফিসকে জানিয়েছি।
ঠিকাদার তাকবির এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত ২১৪ জনের মধ্যে খুলনা সদর হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন ৩২ জন। বাকিরা ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন। সিভিল সার্জন চিঠিতে উল্লেখ করেন, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বেতনের দায়ভার নিতে বাধ্য নয়। এই চিঠি অর্থ বছরের জুন মাসে দিলে যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্ত এক বছর কাজ করিয়ে বেতন দেওয়া হবেনা, এ কথা বলতে পারেননা। এ জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মচারিরা বকেয়া বেতনের দাবিতে স্ব স্ব স্টেশনে কর্মবিরতি পালন করছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে খুলনার সিভিল সার্জন ডা; মাহফুজা খানমের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: সৈকত মো: রেওজওয়ানুল হক বলেন, বিষয়টি সিভিল সার্জন নিজেই ডিল করছেন। আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিং কর্মচারিদের কর্মবিরতির বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি।

