স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট || ভয়েজ অফ জাস্টিস

শেখ হাসিনা সরে গেলেও দেশে স্বৈরাচারী প্রবণতা এখনো বিদ্যমান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জনঅধিকার পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরুর ভাষ্যে, যারা নির্বাচন এড়িয়ে যেতে চাইছেন তারা আসলে শেখ হাসিনার নীতি অনুসরণ করছেন। তিনি বলেন, “হাসিনা না থাকলেও দেশে স্বৈরাচারী মানসিকতার ধারাবাহিকতা রয়ে গেছে, যা গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য বড় বাধা।”
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে ভিন্নমতের জায়গা সবসময় খোলা থাকে। “সবাই নিজস্ব মতামত প্রকাশ করবে, সেটিই গণতন্ত্রের মূলনীতি। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে, সহনশীলতা গড়ে তুলতে হবে এবং মানসিকতারও সংস্কার আনতে হবে।”
সংস্কারের প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, সব প্রস্তাবেই একমত হওয়ার প্রয়োজন নেই। যেগুলোতে ঐকমত্য হবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। আর মতবিরোধ থাকলে তা জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের রায়ই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
হাসিনার শাসনব্যবস্থা প্রসঙ্গে আমীর খসরু অভিযোগ করেন, “তিনি না থাকলেও তাঁর মানসিকতায় গড়া কিছু লোক দেশে সক্রিয় রয়েছে। সামান্য ভিন্নমত হলেই তারা মব তৈরি করে অন্যকে দমন করতে চাইছে। এটি গণতান্ত্রিক আচরণ নয়।”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “বিএনপি সবসময় গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আমরা আশা করি এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, এর বাইরে অন্য কোনো বিকল্প নেই।

