স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট || ভয়েজ অফ জাস্টিস

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ন্যায়বিচার পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় ঘোষণার পর তিনি প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “সর্বোচ্চ আদালত প্রমাণ করেছে তারেক রহমান নির্দোষ।”
এর আগে টানা পাঁচ দিন শুনানি শেষে ৪ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য হয়। মামলার শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনসহ একাধিক আসামির সাজা ঘোষণার পর মামলাটি হাইকোর্টে আসে। হাইকোর্ট ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর আসামিদের খালাস দেন। ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে। পরে আপিল বিভাগের অনুমতি মেলে এবং দীর্ঘ শুনানি শেষে রায় দেওয়া হয়।
কায়সার কামাল অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারেক রহমানকে এই মামলায় জড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের পরিবর্তে বিরোধী নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, যা আদালতের রায়ে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত হন আইভী রহমানসহ ২৪ জন, আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। হামলার লক্ষ্য ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা, যিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক বলেন, “এই রায় প্রমাণ করেছে প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনা এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাননি, বরং প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমানকে আসামি করা হয়েছিল।”
তিনি আরও যোগ করেন, আদালতের এই খালাস বিএনপির জন্য শুধু রাজনৈতিক স্বস্তিই নয়, বরং ন্যায়বিচারেরও বিজয়।

