সাভারের আশুলিয়ায় এবারের শ্রমিক অসন্তোষে বিদেশি চক্র জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) আব্দুল হাফিজ।
রোববার বিকালে আশুলিয়া ইউনিয়নের বড় রাঙ্গামাটিয়া এলাকার কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ এ সময় আরও বলেন, শিল্পাঞ্চলে বেতন-ভাতার দাবি নিয়ে কিছু কিছু অসন্তোষ ছিল। এছাড়া বিদেশি চক্র শ্রমিক অসন্তোষ উসকে ও ইন্ধন দিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অসন্তোষকারীদের চিহ্নিত করে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে সে কারণেই এখন সব কারখানা চালু রয়েছে, কোনো সমস্যা নেই।
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী সাভার সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মঈন খান, কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনির হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম, হেড অব এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন শিপার সমাজপতিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একটি বিশেষ মহল বিদেশি মদদে গার্মেন্টস শিল্পকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা চালাচ্ছে। তারা চায় না বাংলাদেশ তৈরী পোশাক শিল্পে বিশ্ববাজারে ভালো অবস্থানে যাক। কিছু গার্মেন্টস মালিক ৫ আগস্টের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাত বন্ধ করে দেয়। বেতন ভাতার দাবীতে তারা সড়কে নেমে আসে ও রাস্তায় অবরোধ তৈরি করে। ফলে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে পর্যায়ক্রমে একেকদিন একেক গার্মেন্টসে উস্কানি দেয়া হয়। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করেছে।
বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য গার্মেন্টস সামগ্রী। এ নিয়ে বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী দেশীয় এজেন্টদের সহায়তায় বার বার গার্মেন্টস শিল্পকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। বিদেশি বায়ারদের উপস্থিতিতে কারখানায় হামলা হয়েছে। ISO সার্টিফাইড কারখানায় হামলা করে আগুন দেয়া হয়েছে। ১০০% রফতানিমুখী গার্মেন্টস যেখানে ১ টাকা বেতন ভাতা বকেয়া থাকেনা, সেখানেও হামলা হয়েছে।